Header

ব্ল্যাক রাইস বীজ কোথায় পাওয়া যায়

ads 1

বাংলাদেশে ঔষধিগুণ সম্পন্ন ব্ল্যাক রাইস ধান বা ব্ল্যাক রাইস বীজ কোথায় পাওয়া যায় এই নিয়ে অনেক খোজাখুজি হলেও অরিজিনাল ধান বীজ ও বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বাংলাদেশে ফারগ্রো লিমিটেড (fargro limited) দিচ্ছে নিজস্ব খামারে উৎপাদিত এবং ভারত, চায়না, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া হতে আমদানিকৃত অরিজিনাল চিকন কালো ধানের বীজ যেখানে দেশের বেশিরভাগই গ্রাহকদের ভুলভাল বুঝিয়ে মোটা ও দেশি জাতের কিছু ধান ধরিয়ে দিয়ে থাকে।

আপনি যদি ব্ল্যাক রাইস বীজ কোথায় পাওয়া যায় খুঁজে থাকেন তাহলে একেবারে সঠিক জায়গায় এসেছেন।

black rice seeds in Bangladesh

ফারগ্রো বাংলাদেশ লিমিটেড নিয়ে এলো নির্বাচিত ও উন্নত জাতের কালো ধানের বীজ আপনার জন্য। ফারগ্রো লিমিটেড-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ কিংবা অফিসিয়াল নম্বরে ফোন করেও পেতে পারেন আপনার কাঙ্খিত কালো ধানের বীজ। ফারগ্রো সারাদেশে কুরিয়ারের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকে।

ব্লাক রাইস

ঔষধি গুণ সম্পন্ন কালো চাল বা ব্লাক রাইস এক প্রকার চাল। বাংলাদেশে এটি আমদানীর মাধ্যমে চাষ ও খাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। কালো চাল বা পার্পল রাইস যা বেগুনী চাল নামেও প্রসিদ্ধ। একসময় চৈনীক ও জাপানী রাজাগণ তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য গোপনে চাষ করত। রাজ পরিবার তাদের নির্বচিত কৃষক দিয়ে এই ধান চাষ করতো বলে ইতিহাসে বলা হয়েছে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও এন্টি-এজিং পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ হওয়ায় রাজ পরিবারের মেয়েদের প্রধান খাদ্য হিসেবে কালো চালের ভাত দেয়া হতো। জিংক ও খনিজ উপাদান অন্যান্য সাধারণ চালের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি এবং ফাইবারসমৃদ্ধ এই চাল ভারত তথা এশিয়া অঞ্চলে সাধারণ চাষিদের জন্য চাষ ও উৎপাদন ছিল নিষিদ্ধ।

ব্ল্যাক রাইস বীজ কোথায় পাওয়া যায়

কালের বিবর্তনে বর্তমানে ঔষধিগুণসমৃদ্ধ এই ধান ভারত, পকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের কিছু কিছু অঞ্চলে চাষাবাদ হয়ে আসছিল। ভারতের মনিপুরে এটি “চক-হাও”; থাইল্যান্ডে “জেসমিন”; ফিলিপাইনে “বালাতিনা” এবং ইন্দোনেশিয়া “কালে চাল” নামে খ্যাত।

অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নাটোর ও রাজশাহীর কিছু কিছু অঞ্চলে প্রায় সকল জাতের ধান চাষাবাদ হয়ে আসছে। বাংলাদেশে এটি কালো ধান বা কালো চাল নামে খ্যতি অর্জন করে। যাদি প্রথমদিকে ব্ল্যাক রাইস বীজ কোথায় পাওয়া যায় তা অনেকেরই জানা ছিল না বিধায় অনেকেই আত্মীয়-স্বজন বা পাবাসী বাংলাদেশী মারফত ভারত, পকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ড থেকে কালো ধানের বীজ আমাদানী করে থাকত। বর্তমানের তা আমাদের দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে এবং বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা তাদের উৎপাদিত এই কালো ধানের বীজ বা ব্লাক রাইস ইউরোপ, আমেরিকাসহ মধ্য প্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে রপ্তানী করে আসছে।

ব্লাক রাইস চাষ পদ্ধতি

ব্ল্যাক রাইস অন্যান্য সাধারণ জাতের ধানের মতো চাষ করা যাবে না। ব্লাক চাষের জন্য আলাদা পদ্ধতি অবলম্বন করা এবং বিশেষ জাতের কালো এই ধানের বীজ, বীজতলা ও জমি তৈরিসহ অন্যান সকল ধাপে নিতে হয় বিশেষ পরিচর্যা। কালো ধানের বীজ কিছুটা নাজুক বিধায় বীজ প্রক্রিয়াজাত করণের পূর্ব হতেই নিতে বিশেষ পদক্ষেপ।

ব্ল্যাক রাইস বীজ কোথায় পাওয়া যায় বা কালো ধানের বীজ কোথায় পাওয়া যায়

অংকুরিত করন পদ্ধতি 

কালো ধানের বীজ থেকে চারা তৈরির জন্য অন্যান্য জাতের ধানের মতো এই বীজ ধানও প্রথমে হালকা আঁচের রোদে এক থেকে দুই ঘন্টা গরম করে বীজের সুপ্ত অঙ্কুরোদগম অবস্থা জাগিয়ে তুলতে হবে। এরপর বীজ ধানগুলো ছায়ায় রেখে ঠান্ডা করে নিতে হবে।

ঠান্ডা বীজগুলো ছত্রাকনাশক দিয়ে শোধন করে নিতে হবে এবং কমপক্ষে ১২ ঘন্টা স্বাভাবিক ডুবো পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে বীজের ধান পরিমাণে বেশি হলে বস্তা বন্দি করে পুকুরের পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।

১২-১৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখা ধানগুলো পানি ঝরিয়ে শুকনো জায়গায় ঝাঁক দিতে হবে। ঝাঁক দেওয়া স্থান কিছুটা উঞ্চতা সম্পন্ন রাখতে হতে এবং শুকনো মৌসুমে পানি ছিটিয়ে কিছুটা স্যাঁতস্যাঁতে ভাবে রাখতে হবে।

এভাবে ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে বীজ ধান হতে অঙ্কুরে বের হয়ে যাবে যা বীজতলায় বপনের উপযোগী হলে বীজতলায় বপন করতে হবে।

বীজতলা তৈরি

ads 1

অঙ্কুরোদের জন্য কালো ধানের বীজ প্রস্তুত করা হয়ে গেলে দ্রুত বীজতলা তৈরি করে নিতে হবে। কালো ধানের বীজতলা তৈরির জন্য পানি জমে থাকে না এমন নিচু কিংবা উচু জমি দুই বা তিন চাষ দিয়ে মাটি কাদাকাদা করে নিতে হবে। শতক প্রতি দুই কেজি ছাই ও দুই কেজি জৈব সার দিয়ে শেষ চাষ দিতে হবে এবং মই টেনে সমান করে নিতে হবে। অঙ্কুরিত কালো ধানের বীজ ছিটিয়ে হালকা করে ছাই ছিটিয়ে দিতে হবে।

বীজতলায় কালো ধানের চারাগাছ যত্নের পদ্ধতি

বীজতলায় অঙ্কুরিত ধান হতে দুই একদিনের মধ্যেেই চারা গজিয়ে উঠবে। এইসময় জমি শুকিয়ে গেলে সকাল কিংবা বিকেলে ছিটিয়ে পানি দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন পানি জমিতে জমে না থাকে। শীতের সময় ঘন কুয়াশায় বীজতলা রাতে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং সকালে রোদ উঠলে তা সরিয়ে ধানের গাছের পানি ঝরিয়ে দেয়া লাগবে। এভাবে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পর কালো ধানের চারা জমিতে রোপণের উপযোগী হয়ে উঠে।

জমি তৈরির পদ্ধতি

ভাল ফলনের জন্য যেমন ভালো বীজ প্রয়োজন ঠিক তেমনই ভালো ফসল ঘরে তুলতে হলে প্রয়োজন ভালোভাবে জমি তৈরি করে নেয়া। তবে, আমরা কালো ব্ল্যাক রাইস ধানের বীজ কোথায় পাওয়া যায় খুঁজে পাওয়ার পর তা কিভাবে চাষ করতে হবে বা ব্লাক রাইস চাষ পদ্ধতি কি তা না জানার কারণে আশানুরূপ ফসল ধরে তুলতে পারি না। 

জমি তৈরির প্রথম ধাপ হিসেবে জমিকে উত্তমরূপে কর্ষণ করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে, হালের লাঙ্গল বা ট্রাক্টরের মাধ্যমে উপরের ও নিচের মাটি মিশিয়ে নিতে হবে। উচু জমি হলে পরিমিত পরিমাণে ডলো চুন প্রয়োগ করে জমির মাটি শোধন করে নিতে হবে। শেষ চাষের আগে জমিতে সার প্রয়োগ করে নিতে হবে।

চারা রোপণ পদ্ধতি

জমিতে শেষ চাষ দেওয়ার ৩/৪ দিন পর জমিতে চারা বপন করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে চারার বয়স যেন কোন ক্রমেই ২৮ দিনের বেশি না হয়। বপনের ক্ষেত্রে চারা হতে চারার দূরত্ব ৯ ইঞ্চি এবং সারি হতে সারির দূরত্ব ১০ ইঞ্চি রাখতে হবে। চারা রোপণের ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে আগাছা দমনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে এবং চারার গোঁড়ায় পর্যাপ্ত পানি রাখতে হবে। 

পরিচর্যা

ব্ল্যাক রাইস চাষে বিশেষ পরিচর্যা গ্রহণ করতে হয়। চারা রোপণের পর পরই কালো জাতের ধানের জন্য বিশেষ যত্ন নেয়া শুরু করতে হবে। এক্ষেত্রে, আগাছা দমনকে প্রথম দিকে রাখতে হবে। এছাড়া, উপরি হিসেবে সার দেওয়া এবং সময়মত পানি সেচ দিতে হবে। চারা রোপণের ১৫-২০ দিনের মধ্যে নতুন কুশি আসলে একবার এবং ধানের গোছা দেওয়া পরিপূর্ণ হয়ে গেলে একবার করে মোট দুবার জমির মাটি শুকিয়ে নিতে হবে। এছাড়া, বাকি সময় গাছের গোঁড়ায় যেন পানি থাকে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

ব্ল্যাক রাইস বীজ কোথায় পাওয়া যায়

সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে মোট পরিমাণের অর্ধেক জমি তৈরির সময় দিতে হবে। বাকি সার উপরি হিসেবে চারা রোপণের ৩০ দিন ও ৪৫ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া, জমির মাটির শক্তি বৃদ্ধি ও মাটিতে অণুজীব ঠিক রাখতে প্রয়োজনে এক বা দুবার জৈব সার বা জিবাম্রুত বা জীব অমৃত ব্যবহার করা যেতে পারে। 

ধান গাছে থোড় আসলে কয়েকদিন পানি রেখে ধান পরিপক্ক হয়ে আসলে পানি শুকিয়ে কিংবা প্রয়োজনে জমি থেকে বের করে দিতে হবে। ধান গাছের পাতা হ্লুদ হয়ে আসলে এবং ধানের ভেতরে  চালের উপস্থিতি বুঝে ১০০-১১৫ দিনের মধ্যে ধান তোলার জন্য উপযুক্ত হয়ে যাবে।

ব্ল্যাক রাইস এর উপকারিতা

ব্ল্যাক রাইস বীজ কোথায় পাওয়া যায় বা কালো ধানের বীজ কোথায় পাওয়া যায় এমন তথ্য খুঁজতে থাকা অনেকেই জানি না ব্ল্যাক রাইস এর উপকারিতা। জানা নেই কালো ধানের চালে কি পরিমাণ পুষ্টিগুণ বা খাদ্যগুণ রয়েছে কিংবা কেনই বা এত জনপ্রিয় বা দামি এই ব্লাক রাইস। এই চাল সাধারণ সাদা কিংবা বাদামি চালের চেয়ে দিগুণ বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ এবং খুবই কম গ্লুটেন মান সম্পন্ন। এছাড়া কালো ধানের চালে রয়েছে সাধারণ সাদা চালের তুলনায় তিঙগুণ বেশি আমিষ, ভিটামিন, জিংক, খনিজ উপাদান। 

শেষকথা

ব্ল্যাক রাইস বীজ কোথায় পাওয়া যায় বা কালো ধানের বীজ কোথায় পাওয়া যায় তা আমরা সাবই জানি। ফারগ্রো বাংলাদেশ তাদের নিজস্ব খামারে উন্নত মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ব্ল্যাক রাইস বীজ উৎপাদন করে আসছে।  এমন সকল কেনাকাটা সংক্রান্ত যেকোনো পণ্য পাওয়া যাবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

ব্ল্যাক রাইস বীজ কোথায় পাওয়া যায়

ads 1
সম্পর্কিত বিষয়
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More